সামাজিক মিডিয়া আপোলো হাসপাতাল থেকে কথা বলুন:

Breadcrumb Images
অ্যাপোলো হাসপাতালকার্যপ্রণালীবোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন)

বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন)

বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন) কি?
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান (বিএমটি) বা স্টেম সেল প্রতিস্থাপন হল একটি প্রক্রিয়া যা ক্ষতিগ্রস্ত বা রোগাগ্রস্ত বোন ম্যারো রক্ত সৃষ্টিকারি স্বাস্থ্যকর স্টেম সেল দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। এটি তখন দরকার যখন বোন ম্যারো সঠিকভাবে কাজ করে না এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর রক্ত কনিকা প্রস্তুত করতে পারে না। বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট অটোলোগাস ট্রান্সপ্ল্যান্ট (আপনার শরীরের নিজস্ব কোশ) বা অ্যালোজেনিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট (দাতার পক্ষ থেকে)।
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান করা হয় কেন?

অটোলোগাস এবং অ্যালোজেনিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট নিম্নলিখিত কারনে করা হয়ে থাকেঃ
• অটোলোগাস ট্রান্সপ্ল্যান্ট (আপনার নিজস্ব শরীর থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ করে)
a) হজকিন্স এবং নন-হজকিন্স লিম্ফোমাঃ ফিরে আসা/ দুরারোগ্য ব্যাধির ক্ষেত্রে, এটি প্রামাণিক চিকিৎসা এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এটি আরোগ্যযোগ্য বিকল্প।
b) মায়েলোমাঃ যদিও এটি আরোগ্যক্ষম নয়, একটি প্রামাণিক চিকিৎসা হিসাবে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে, এটি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়ায়।
c) লিউকেমিয়াঃ গুরুতর মায়লয়েড লিউকেমিয়া একটি একীকরণ চিকিৎসা, যা রোগ থেকে সেরে ওঠার সম্ভাবনা বাড়ায়।
• অ্যালোজেনিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট (দাতার থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ করা হয়)
a) থ্যালাসেমিয়া
b) একাধিক জিনগত রোগ, মূলত একক জিনের সমস্যা
c) অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া
d) গুরুতর মায়লয়েড লিউকেমিয়া
e) উচ্চ ঝুঁকিযুক্ত এএমএল এবং আবার ফিরে আসা এএমএল
f) ফিরে আসা এএলএল (গুরুতর লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়া)
g) একাধিক অগ্রীম বা রিফ্র্যাক্টরি হেমাটোলজিক্যাল ম্যালিগন্যান্সি যেমন ফলিকুলার লিম্ফোমা, সিএলএল, মায়েলোমা একটি বিকল্প হিসাবে ইত্যাদি

এই প্রক্রিয়া চলাকালে কি হয়?

পর্যায় 1: বিএমটি এর জন্য রোগীকে প্রস্তুত করা (কন্ডিশন প্রক্রিয়া)
কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি রোগাগ্রস্ত মজ্জা বা শরীরের অন্য কোথাও ক্যান্সার নির্মূল করতে করা হয়ে থাকে। এটি রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দমিত করতে করা হয়ে থাকে (অ্যালোজেনিক ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য আবশ্যিক), যাতে দান করা রক্তের স্টেম সেলগুলো প্রত্যাখ্যান না করা হয়ে থাকে।

পর্যায় 2: এনগ্রাফ্টমেন্টের আগে (এই পর্যায়টি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা রক্তের স্টেম সেল কাজ করার আগে শুরু হয়)
কেমঅ-রেডিওথেরাপির উচ্চ মাত্রার পর, রক্তের স্টেম সেলগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং স্বাভাবিক রক্ত কোশ তৈরি হতে পারে না। রোগীকে একটি পরিষ্কার এবং আলাদা ঘরে রাখা হয়। যদি তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, তাহলে সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের দরকার হতে পারে।

পর্যায় 3: এনগ্রাফ্টমেন্টের পরে (এই পর্যায়টি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা রক্তের স্টেম সেল কাজ শুরু হওয়ার পর শুরু হয়)
এটি অস্থিমজ্জার ইনফিউশান শুরু হওয়ার পর চালু হয়। যখন দান করা স্টেম সেল সক্রিয় হয়ে উঠে, রোগীরা আলাদা ঘর থেকে বাইরে চলে আসতে পারে। আপনার রক্ত কোশের সংখ্যা বৃদ্ধি হলে আপনাকে ছুটি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। যদিও, আপনাকে নিয়মিত চেক-আপের জন্য আসতে হবে যাতে কোন সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সমস্যা বা গ্রাফ্ট বনাম হোস্টের বিক্রিয়া হচ্ছে কিনা দেখা যেতে পারে।

কতটা সময় লাগে?

পর্যায় 1: বিএমটি এর আগে, কন্ডিশন করার প্রক্রিয়া করা হয়ে থাকে যা সাধারণত 2-10 দিন সময় লাগে।
পর্যায় 2: এনগ্রাফ্টমেন্টের আগে পর্যায় সাধারণত 2-3 সপ্তাহ লাগে।
পর্যায় 3: এনগ্রাফ্টমেন্টের পর পর্যায়টি বোন ম্যারো ইনফিউশান শুরু হওয়ার 2 – 5 সপ্তাহ পর থেকে শুরু হয় এবং এটি দীর্ঘতম পর্যায় যা সেরে উঠা পর্যন্ত চলতে থাকে।
প্রক্রিয়ার পরে কি হয়?

যখন শরীরে নতুন কোশ প্রবেশ করা, এনগ্রাফ্টমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায়, নতুন কোশ গুলো রক্তের মাধ্যমে আপনার অস্থি মজ্জায় চলে যায় এবং বাড়তে শুরু করে। আপনার রক্তকনিকাগুলো স্বাভাবিক সংখ্যায় ফিরে আসতে প্রায় 2 থেকে 6 সপ্তাহ লাগে। আপনার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ আপনার রক্ত পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর, আপনার রক্ত কনিকা এবং প্লেটলেটের ট্রান্সফিউশান করা হতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার অস্থিমজ্জা নিজে থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ কনিকা উৎপাদন করতে পারছে। সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতার বিক্রিয়ার জন্য আপনাকে ওষুধ দেওয়া হতে পারে।
কোন অ্যাপোলো হাসপাতালে করা হয়ে থাকে সে সম্বন্ধে তথ্যাদি
ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালের ব্লাড এবং বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান সেন্টার 1500 এর বেশি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেছে, এর সফলতার হার অসাধারণ।
অ্যাপোলো এই প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ

অ্যাপোলো হাসপাতাল বিএমটি রোগীদের জন্য একটি ভরসাযোগ্য নাম, এই হাসপাতালে শুধু অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন বিএমটি দল আছে তাই নয়, বরং বিএমটি রোগীদের জন্য অত্যন্ত কঠোরভাবে মেনে চলা সংক্রমণের নিয়মাবলীও রয়েছে। বিএমটি চিকিৎসা অ্যাপোলো হাসপাতাল, চেন্নাই, নিউ দিল্লী, হায়েদ্রাবাদ, আহমেদাবাদ, কোলকাতাতে উপলব্ধ রয়েছে।

জিজ্ঞাস্য

বোন ম্যারো (অস্থি মজ্জা) কি?

বোন ম্যারো (অস্থি মজ্জা) হল একটি বিশেষ স্পঞ্জের মতো ফ্যাটি টিস্যু যেখানে রক্তের স্টেম সেল থাকে। এই স্টেম সেলগুলো কিছু বড় হাড়ের মধ্যে থাকে এবং নিজেদের শ্বেত এবং লোহিত রক্ত কনিকা এবং প্লেটলেটে পরিবর্তিত করে। বোন ম্যারো, এইভাবে আমাদের শরীরে রক্ত কনিকা প্রস্তুতিতে একটি গুরুত্বপূরণ ভূমিকা পালন করে।

কিভাবে বোন ম্যারো (অস্থি মজ্জা) সংগ্রহ করা হয়?

বোন ম্যারো হার্ভেস্ট করার এক বা দুই সপ্তাহ বাদে, রোগীর (বা দাতা, অ্যালোজেনিক ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান) দেহ থেকে 1 থেকে 2 ইউনিট রক্ত নেওয়া হতে পারে। এটি বোন ম্যারো হার্ভেস্ট করার সময় ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।
হার্ভেস্ট সাধারন অ্যানাস্থেশিয়া মাধ্যমে করা হয়ে থাকে, তাই জন্য এতে কিছু অনুভূত হয় না। এতে পেলভিসের পশ্চাদভাগ এবং সামনের হাড়ের ভিতর থেকে কিছুটা পরিমাণ মজ্জা বের করে নিতে হয় (পশ্চাদভাগের হাড়)।
রোগী বা দাতাকে সাধারন অ্যানাস্থেশিয়া থেকে সেরে উঠতে হাসপাতালে রাত্রি যাপন করতে হয়। সাধারণত কয়েকদিনের জন্য কালশিটে পড়ে থাকে এবং হালকা বেদনানাশকের প্রয়োজন হয়ে থাকে। এটি নার্স বা চিকিৎসকের দ্বারা করা হয়ে থাকে।

স্টেম সেল কি?

রক্ত কনিকা মানব দেহের অন্যান্য কোশগুলোর মতোই বেড়ে ওঠে। তারা অস্থি মজ্জায় “স্টেম সেল” নামক মূল কোশ থেকে বিকশিত হয়। এই স্টেম সেলগুলো বিভাজিত হতে শুরু করে এবং সম্পূর্ণ বিকশিত না হওয়া পর্যন্ত তারা বেড়ে বিভিন্ন ধরণের রক্ত কনিকা তৈরি করেঃ শ্বেত কনিকা, প্লেটলেট এবং লোহিত কনিকা। স্টেম সেল সাধারণত বড় হাড়ের অস্থি মজ্জার ভিতরে পাওয়া যায়, যদিও, তারা রক্ত প্রণালীতে একটি হাড় থেকে অন্য হাড়ে যেতে পারে। শ্বেত কনিকার নূন্যতম একটি অংশ আমাদের শিরায় সংবাহিত হয় যেগুলো স্টেম সেল।

ট্রান্সপ্ল্যান্টের ক্ষেত্রে রোগী বা দাতার কোন সার্জারি করা হয় না। এটি একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত প্রক্রিয়া। শরীরে কোন কিছু স্থায়ীরূপে হারিয়ে যায় না যেমন কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট। স্টেম সেল কয়েকদিনের মধ্যেই তৈরি হয়ে যায়। একই কারনে ইউএসএ’তে 1 কোটি (10 মিলিয়ন) এর বেশি স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্টের স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে। স্টেম সেল রোগীদেহে লাইভ ব্লাড ট্রান্সফিউশানের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
স্টেম সেল কিভাবে সংগ্রহ করা হয়?

স্টেম সেল হার্ভেস্টিং নিম্নলিখিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রোথ ফ্যাক্টরের নিয়মিত ইঞ্জেকশানের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়াটিতে 3 ঘণ্টা মতো সময় লাগে। রোগীকে একটি বিছানায় শুয়ে পড়তে বলা হবে এবং প্রতিটি হাতের শিরায় ট্রান্সফিউশান দেওয়া হবে। সেন্ট্রিফিউজ নামক একটি মেশিনে একটি হাত থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হবে, যেটি ঘুরে স্টেম সেল আলাদাক্রে দেয়। এটি সংগ্রহ করা হয়, এবং অবশিষ্ট রক্ত আইভি এর মাধ্যমে অন্য হাতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। স্টেম সেল জমিয়ে রাখা যেতে পারে।

আম্বেলিকাল কর্ড ব্লাড ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান কি?

বহু শিশু এবং কম বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের লিউকেমিয়ার মতো গুরুতর রক্তের ব্যাধিগুলোর জন্য বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশানের প্রয়োজন যাতে তারা বেঁচে থাকার একটি সুযোগ পায়। যদিও, একজন মজ্জা দাতা সবসময় পাওয়া নাও যেতে পারে। কখনও কখনও এমন ঘটনাও ঘটে উপযুক্ত দাতা পেতে এতটাই সময় লেগে যায় যে তার আগেই রোগী মারা যায়। যদিও, একটি রক্ত সৃষ্টিকারী স্টেম সেলের নতুন উৎস পাওয়া গেছে, আম্বেলিকাল কর্ড ব্লাড।
বাচ্চার জন্ম দেওয়ার পর যে রক্ত প্ল্যাসেন্টা এবং আম্বেলিকাল কর্ডের মধ্যে থেকে যায়। কর্ড ব্লাড স্টেম সেল এ পরিপূর্ণ এবং এটি বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশানের পরিবর্তে ব্যবহার করা হতে পারে।
কর্ডের রক্তে থাকা স্টেম সেল উচ্চ মানের এবং রক্ত কনিকা সৃষ্টিতে অত্যন্ত কার্যকর। কর্ড ব্লাড ট্রান্সপ্ল্যান্টের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধক পার্শ্ব প্রভাব কম গুরুতর হয়ে থাকে। দাতা এবং গ্রাহকের ‘মিল’ কম গুরুতর হয়। এর অর্থ হল কর্ড ব্লাড ট্রান্সপ্ল্যান্টেশানের জন্য বোন ম্যারোর তুলনায় উপযুক্ত কর্ড ব্লাড পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।

অ্যালোজেনিক ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য কে দাতা হতে পারবেন?

দাতার সাথে রোগীর টিস্যুর ধরণ মিলতে হবে, মূলত এইচএলএ (হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন)। সাধারণত, ভাইবোনেদের পাতা-মিতার তুলনায় মিল হয় বেশি। দাতাকে স্বাস্থ্যকর হতে হবে। আম্বেলিক্যাল কর্ডের রক্ত ব্যবহার করা যেতে পারে।

বোন ম্যারো বা পেরিফেরাল রক্ত দান করার ফলে কি দাতার কোন স্বাস্থ্য সম্বন্ধিত সমস্যা হতে পারে?

পেরিফেরাল ব্লাড স্টেম সেলের ক্ষেত্রে, অ্যানাস্থশিয়ার কোন প্রয়োজন হয় না এবং প্রক্রিয়াটি একটি কোশ পৃথকীকরণ যন্ত্র দ্বারা 2-3 ঘন্টায় করা হয়, যেখানে রক্ত শিরা থেকে নেওয়া হয়ে থাকে এবং রক্ত অন্য হাতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সার্জারির ক্ষেত্রে, জেনারেল বা স্থানীয় অ্যানাস্থশিয়ার মাধ্যমে ত্বকের মাধ্যমে হারে সুই ফোটানো হয় এবং মজ্জা বের করে নেওয়া হয়। এই সমগ্র প্রক্রিয়াটি করতে 2-3 ঘণ্টা সময় লাগে এবং এটি বেদনাহীন। দাতার ফ্লু এর মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে যা কিছুক্ষণ বাদে ঠিক হয়ে যায়। কোন হাড় কাঁটা বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

বিএমটি এর জন্য কিভাবে প্রস্তুত হতে হয়?

ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা অত্যন্ত চাহিদাপূর্ণ হতে পারে, শারীরিক এবং মানসিক উভয়দিক দিয়েই। এটি রোগীর ভীতি এবং উদ্বেগ নিয়ে কথা বলতে সাহায্য করে।
একজন ব্যক্তি কেন ট্রান্সপ্ল্যান্ট করছেন তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রকৃত প্রক্রিয়াটি কেম্ন হবে, যাতে রোগী সেই অনুযায়ী মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করতে পারেন। রোগী হাসপাতালে যাওয়ার আগে, সমগ্র প্রক্রিয়াটির সাথে যুক্ত চিকিৎসক এবং নার্সের সাথে আলোচনা করে নেওয়া উচিৎ।

এখানে বেশ কিছু প্রশ্ন দেওয়া হল যা একজন জিজ্ঞাসা করতে পারেনঃ

  • চিকিৎসার সুবিধাবলীগুলো কি কি?
  • চিকিৎসার ঝুঁকিগুলো কি কি?
  • আমি যেভাবে জীবনযাপন করছি তাতে ট্রান্সপ্ল্যান্ট কিভাবে প্রভাবিত করতে পারে?
  • ট্রান্সপ্ল্যান্টের পরে আমি কি গর্ভধারণ করতে পারব?
  • আবার স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে কতটা সময় লাগতে পারে?
  • আমার কাছে উপলব্ধ অন্যান্য চিকিৎসাগুলো কি কি?
  • রোগের বিকাশ সম্বন্ধে কি ধারণা করা যেতে পারে?
  • আমাকে কে দেখতে আসতে পারবে?
  • আমার চিকিৎসার সময় কি আমি এতটাই অসুস্থ থাকব যে আমি কারোর সাথে দেখা করতে পারব না?
  • ঘরে টিভি থাকবে?
  • ঘরের সাথে কোন ফোন যুক্ত থাকবে?
  • আমি কি আমার নিজের পোশাক আনতে পারি?
  • হাসপাতালে যাতে আমি আরামে থাকতে পারি তার জন্য আমার কি আনা উচিৎ?
  • পরিষেবাপ্রদানকারীরা কোথায় থাকবেন?

সম্পূর্ণরূপে অবগত এবং প্রস্তুত থাকলে ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রক্রিয়া রোগী এবং তার পরিবারের জন্য অনেক সহজতর হয়ে যায়।

বিএমটি এর জটিলতাগুলো কি কি?

সকল ট্রান্সপ্ল্যান্টের মতো, কখনও কখনও রোগীর জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। এতে ডায়রিয়া, বমি, অস্বস্তি বা মিউকাস পর্দায় সংক্রমণ, রক্তক্ষরণ ইত্যাদি হতে পারে। কিছুকিছু ক্ষেত্রে গ্রহীতা ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা মজ্জা প্রত্যাখ্যান করতে পারে বা দাতার স্টেম সেল গ্রাহীতা সাথে বিক্রিয়া করতে পারে। কিন্তু নিয়মিত ফলো-আপ এবং চিকিৎসার সাথে, এই বিক্রিয়ার সম্ভাবনা দৃষ্টান্তমূলক রূপে কমে যেতে পারে।

বিএমটি এর পর রোগী কি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে?

হ্যাঁ, সংক্রামণের সম্ভাবনা কম করা, সুস্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা, সুষম, পুষ্টিকর খাবার, সামান্য ব্যায়মের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা, অতিরিক্ত চাপ এড়িয়ে চলা, নিয়মিত ওষুধ সেবন করে এবং নিয়মিত ফলো-আপ এর মতো কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে বিএমটি এর প্রথম 6 মাস পর থেকে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের গ্রাহক পড়াশুনা, কর্মজীবন এবং সংসার করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।
যোগাযোগ করুন

আমাদের ট্রান্সপ্ল্যান্ট টিমের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে, এখানে টিপুন

Quick Book

Request A Call Back

X